ক্রিষ্টোফার কলম্বাস এবং অপ্রিয় কথা || চলন্ত সরকার

0


উত্তর ঔপনিবেশিক ধারণা গড়ে ওঠেছে মূলতঃ গত শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্দ্ধ থেকে, এটী যেমন বহুল সমাদৃত আবার ঠিক তেমনভাবেই বহুল বিতর্কিতও! এর ইংরেজী প্রতিশব্দ Post Colonialism, অর্থাৎ উপনিবেশের পরের অবস্থা। এর থেকে একটা একটা ধারণা মেলে যে উত্তর ঔপনিবেশিক মতবাদ একটা নির্দ্দিষ্ট সময়ের কথা বলছে, পাশাপাশি এটাও বুঝা যাচ্ছে যে ঔপনিবেশিকতার সময় এখন “উত্তর”। উত্তর ঔপনিবেশিকতা ভাবতে সহায়তা করে প্রচলিত ইউরোপ কেন্দ্রিক আদর্শ ধারণার বিচার করে দেখতে, তারা সত্যি কতটা মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে উপনিবেশ স্থাপন করেছিল, কতটা সুযোগ সুবিধা তারা নিয়েছে উপনিবেশ স্থাপন করে, তাদের প্রচলিত নিয়মকানুন-আদর্শ কতটা সভ্য, যতটা মহৎ রূপে চিহ্নিত করা হয় উপনিবেশ স্থাপনকারী প্রাথমিক ব্যক্তিদের, প্রকৃতপক্ষে তারা কতটা ভাল ছিলেন এসবই নতুন করে ভাবতে তাগিদ দেয় উত্তর ঔপনিবেশিক মতবাদ।

পঞ্চদশ শতাব্দী থেকেই ইউরোপে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন স্থানে নতুন বসতী স্থাপন শুরু করে, স্থলপথে ও জলপথে তারা এশিয়া, আফ্রিকা, আমেরিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে স্থাপন করে তাদের সাম্রাজ্য। বস্তুতঃ সাম্রাজ্যবাদের মাধ্যমেই উপনিবেশ স্থাপনপ্রক্রিয়া শুরু হয়। আবার এই সাম্রাজ্য স্থাপনের পথটাও সবক্ষেত্রে স্পষ্ট ছিল না, অনেক ক্ষেত্রেই বণিকের বেশে, ধর্ম্ম প্রচারের উদ্দেশ্য নিয়ে শুরুটা হয়েছিল আর শেষ হয় রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিয়ে; ইউরোপের নিজেদের সংস্কৃতি, মূল্যবোধ, ধারণা উপনিবেশের শিকার জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়ে। এই ক্ষমতালোভী ও শাসকেরা নিজেদের মত করে রাষ্ট্র পরিচালনার নিয়মনীতি প্রবর্ত্তন করেন, স্বাভাবিকভাবেই তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গীর ও আইনিকাঠামোর পুনঃস্থাপন ঘটে নতুন উপনিবেশের শিকার রাষ্ট্রগুলোতে। নতুন উপনিবেশ স্থাপনকারীরা উপনিবেশের শিকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটা ভেদরেখা টেনে দেয়, এই ভেদরেখার দ্বারা বোঝানো হয় যে তারা “অপর”, তারা অসভ্য, তাদের সংস্কৃতি বুনো ইত্যাদি … বিপরীতে উপনিবেশ স্থাপনকারীর সংস্কৃতি উচ্চতর, তাদের মানসিক বিকাশ উচ্চতর এমন একটা ধারণা প্রোথিত করা হয় উপনিবেশের শিকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে। সাদা চামড়া আর কালো চামড়া দিয়ে বিচার করা হয় সবকিছুর, ক্রমে ক্রমে সাদারা হয়ে ওঠে ব্যাপক আধিপত্যবাদী আর কালো বা বাদামীরা হয়ে ওঠে নিষ্ঠুর নির্য্যাতনের শিকার। সাদারা প্রচার করে তারা যেন সেই পৌরাণিক মসীহা! তারা এসেছে এই অসভ্য, বর্ব্বর, অশিক্ষিত লোকজনদের সভ্য ও সংস্কৃতিবান রূপে গড়ে তোলতে।

উপনিবেশ স্থাপনের সাথে অর্থের যোগ অবিচ্ছেদ্য, মূলত আর্থিক লাভের দিকটাই সবচেয়ে ক্রিয়াশীল থাকে উপনিবেশ স্থাপনের ক্ষেত্রে। পঞ্চদশ শতাব্দীতে কলম্বাস এই অর্থ তথা সোনাদানা ও মসলার লোভেই সমুদ্র পারি জমাতে এত ব্যাকুল হন, তিনি ইতালীয় নাগরিক, তার পরিকল্পনা নিয়ে তিনি হাজির হন ইতালীর রাজদরবারে কিন্তু সেখানে পাত্তা না পেয়ে তিনি স্পেনে গিয়ে হাজির হন ও সেখানের রাজা রাণীকে বোঝাতে সমর্থ হন তার পরিকল্পনা। নানা শর্ত্তে স্পেনের রাজা রাণীর আনুকুল্যে তিনটী জাহাজ নিয়ে রওনা হন ভারতের অভিমুখে কিন্তু যেহেতু তখনও জলপথ অজানা তাই তিনি আমেরিকায় পৌঁছে মনে করেন তিনি ভারতে পৌঁছে গেছেন।

ক্রিস্টোফার কলম্বাস যেদিন আমেরিকায় পৌঁছান সেদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে আগে আমেরিকার কিছু কিছু অঞ্চলে “কলম্বাস ডে” নামে অনুষ্ঠান পালন করা হত, পরে ১৯৩৭ সালে তা রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন শুরু হয়, অর্থাৎ রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয় যে কলম্বাস সত্যি একজন মহান অভিযাত্রী। কিন্তু ১৯ শতকের পঞ্চাশের দশক হতেই বিভিন্ন গবেষকর বয়ানে কলম্বাসের প্রকৃত রূপ উন্মোচন করা শুরু হয়ে যায়, কলম্বাসের নিষ্ঠুরতা, অমানবিকতা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অসংখ্য ঘটনা তুলে নিয়ে আসেন গবেষকরা। ফলশ্রুতিতে কলম্বাসের মহান অভিযাত্রীর মুখোশটা খুলে যায়। হাওয়ার্ড জিন, স্যামুয়েল এলিয়ট মরিসনের গবেষনার মাধ্যমে কলম্বাসের প্রকৃত রূপ সাধারণ মানুষের মাঝে উন্মুক্ত হয়ে যায়। গত কয়েক বছর ধরে কলম্বাস-ডে পালনের তীব্র বিরোধিতা দেখা যাচ্ছে আমেরিকান ও লাতিন আমেরিকানদের মধ্যে, তারা কলম্বাস-ডে’র জায়গায় আদিবাসী দিবস পালন করতে অধিকতর আগ্রহী। অনেক জায়গায় সেটাই করা হচ্ছে। এরই মধ্যে মেক্সিকো সিটীর কলম্বাস ভাস্কর্য্য সরিয়ে ফেলা হয়, এখানে ওলমেক সভ্যতার এক নারী-মূর্ত্তি প্রতিস্থাপিত করা হবে জানায় শহর কতৃপক্ষ। অতি সম্প্রতি শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্ত্তৃক হত্যার শিকার হওয়া কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের পক্ষে আমেরিকায় বিরাট গণআন্দোলন সংগঠিত হয়, এর পর থেকে কলম্বাসের প্রচুর ভাস্কর্য্য ভাঙচুর করা হয়, সিবিএস নিউজের মতে এই সংখ্যাটা প্রায় ৬০টী! ধরে নেয়া যায় যে, এই অত্যাচারী ও গণহত্যাকারী, উপনিবেশ স্থাপনকারীর চিহ্ন পুরা বিশ্বেই এরকম প্রতিবাদের মুখে পড়বে।

 

ছবি: ইণ্টারনেট থেকে

উত্তর ঔপনিবেশিক দৃষ্টিকোণ হতে বিচার করে বিভিন্ন গবেষক কলম্বাসের নাবিক পরিচয়ের আড়ালে যে গণহত্যাকারী ও একজন লোভী অসংস্কৃত মননের অধিকারী রূপ তা উন্মোচন করেছেন।

ক্রিষ্টোফার কলম্বাস, যাকে আমরা চিনি একজন অভিযাত্রী ও আমেরিকা মহাদেশের আবিষ্কারক হিসেবে। প্রায় পাঁচশত বছর ধরে তিনি একজন মহান অভিযাত্রী হিসেবে পরিগণিত হয়েছেন, কিন্তু আসলেই কি তিনি আমেরিকা মহাদেশের আবিষ্কারক ও নতুন দিগন্ত উন্মোচনকারী? নতুন করে ভাবার সময় এসেছে এই ব্যাপারগুলো। বিভিন্ন গবেষক কলম্বাসের এই মহান রূপের আড়ালের আসল রূপ বের করতে সচেষ্ট হয়েছেন।

কলম্বাসের সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি আমেরিকার আবিষ্কারক ও প্রথম ইউরোপীয় মানুষ যিনি আমেরিকায় পা রাখেন, কিন্তু কলম্বাসের জন্মেরও প্রায় পাঁচশত বছর পূর্ব্বে লিয়েফ এরিকসন নামের একজন আইসল্যান্ডিক মানুষ আমেরিকায় গিয়েছেন এমন উল্লেখ রয়েছে আইসল্যান্ডের ‘Saga of Erik The Red’-এ।

কলম্বাস জাতিতে একজন ইতালীয় নাগরিক, তাঁর জন্ম জেনোয়াতে, তিনি একজন দক্ষ নাবিক ছিলেন। সমুদ্রের প্রতি তাঁর প্রবল আকর্ষণ কাজ করত। তিনি স্পেনের রাজা ও রাণীর আনুকুল্যে তিনটা জাহাজ নিয়ে প্রাচ্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তাঁর নৌযাত্রার অন্যতম কারণ তুর্কীদের দ্বারা কনষ্টাণ্টিনোপল অধিকার, তুর্কীরা কনষ্টাণ্টিনোপল দখল করলে প্রাচ্যের সাথে ইউরোপের স্থলপথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়, ইউরোপীয়দের বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে হলে প্রাচ্যের সাথে যোগাযোগ লাগবেই, তাই তারা জলপথে বাণিজ্যের প্রতি মনোযোগী হয়, কিন্তু ইউরোপ থেকে প্রাচ্যের জলপথের ঠিকানা জানা ছিল না কারোর তখন পর্য্যন্ত। এই জলপথ আবিষ্কার ও প্রাচ্যের সিল্ক, স্বর্ণ, মসলার কথা বলে কলম্বাস স্পেনের রাজানুগ্রহ লাভ করেন; কলম্বাস মোট স্বর্ণ, মসলার ১০ ভাগ পাবেন ও Admiral of The Ocean Sea খেতাব পাবেন, পাশাপাশি নতুন ভূমীর শাসকের ভূমিকা পালন করবেন এই মর্ম্মে কলম্বাস তাঁর যাত্রা শুরু করেন। কলম্বাসের এই নতুন অভিযান পরিচালনা সময় থেকেই ইউরোপে ইহুদী, মুরদের ওপর অত্যাচারের খড়গ নেমে আসে, তাদের অনেককেই বিতাড়িত করা হয়, ধনী ইহুদীদের তাদের সম্পতের মালিকানা হস্তান্তর করতে বাধ্য করা হয়।

কলম্বাস ১৪৯২ সালের ১২ অক্টোবর বাহামায় অবতরণ করেন। কলম্বাস ভেবেছিলেন তিনি ইন্ডিয়াতে এসেছেন কিন্তু ইউরোপ থেকে সোজা পথে যে আমেরিকা নামে মহাদেশ রয়েছে তখন তা ছিল ইউরোপীয়দের কাছে অজানা। কলম্বাস পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন যে প্রথম ভূমী দেখতে পাবে সে দশ হাজার ম্যারাভেদিস পাবে, কলম্বাসের জাহাজের একজন নাবিক রোড্রিগো প্রথম ভূমী দেখার দাবী করেন কিন্তু কলম্বাস বলেন তিনি বরং আগে দেখেছেন, সুতরাং পুরস্কার তারই প্রাপ্য!

কলম্বাস ও তাঁর সঙ্গীরা তীরে নামলে স্থানীয় আরাওয়াক গোষ্ঠীর লোকজন তাদের অভ্যর্থনা জানায়। কলম্বাস লক্ষ করেন তারা স্বর্ণের কানের দুল পরা, কলম্বাসের মূল উদ্দেশ্যই ছিল স্বর্ণ, সুতরাং তিনি বেশ খুশী হলেন এই ভেবে যে স্বর্ণের জায়গা তিনি পেয়ে গেছেন। আরাওয়াক লোকজনদের অনেককে বন্দী করে কলম্বাস স্বর্ণের উৎস সন্ধানে ব্রতী হন। এরপর তিনি কিউবা, হাইতি, ডোমিনিকান রিপাবলিকে যান।

কলম্বাস হিসপানিওলায় সামরিক ঘাঁটী স্থাপন করেন, যা আমেরিকায় প্রথম ইউরোপীয় ঘাঁটী। তিনি তাঁর সঙ্গীদের একাংশ এখানে রেখে ইউরোপে ফিরে যান, সাথে নিয়ে যান আমেরিকা হতে দাস। সেখানে গিয়ে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রচার করেন তার ইন্ডিয়া যাবার জলপথ আবিষ্কারের কথা, সে অঞ্চলের সমৃদ্ধির কথা, স্বর্ণের ভাণ্ডারের কথা। পাশাপাশি তাঁর আরো সহযোগিতা দরকার এটাও বলেন, ফলে এবার তিনি সতেরটী জাহাজ ও বারশত লোকের একটী বহর নিয়ে রওনা দেন আমেরিকার উদ্দেশ্যে।

কলম্বাস ১৫৯৫ সালে আরাওয়াক গোষ্ঠীর ১৫০০ লোক থেকে বেছে বেছে ৫০০ জনকে দাস হিসেবে নেন, ইউরোপে যাবার পথে তাদের মধ্যে ২০০জন মারা যায়। হাইতির সিকাও প্রদেশে কলম্বাস ১৪ বছরের ঊর্ধ্বে সবার জন্য তিন মাসের মধ্যে নির্দ্দিষ্ট পরিমাণ স্বর্ণ সংগ্রহ করে দেবার নির্দ্দেশ দেন৷ যারা দিতে পারত না তাদের হাত কেটে ফেলে রাখা হত, রক্তক্ষরণে মারা যাবার জন্য। ৯ বছরের ঊর্ধ্বে মেয়েদের যৌনদাস হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করে কলম্বাস ও তাঁর সঙ্গীরা।

আরাওয়াকরা এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়, তারা স্পানিয়ার্ডদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যায়, কিন্তু পরাজিত হয় স্বাভাবিকভাবেই। বন্দীদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে, আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় আরাওয়াকরা “গণ-আত্মহত্যা” শুরু করে কাসাভা বিষ খেয়ে। এমনকি পিতা-মাতা তাদের শিশুসন্তানদের মেরে ফেলেন স্পানিয়ার্ডদের হাত থেকে বাঁচাতে!

হাইতির জনসংখ্যা দুই বছরে আড়াই লাখ হতে অর্দ্ধেক হয়ে যায় কলম্বাসের কারণে।

১৫১৫ সালে আরাওয়াক জনসংখ্যা ৫০০০০, ১৫৫০ সালে ৫০০, ১৬৫০ সালে আরাওয়াকরা বিলুপ্ত হয়ে যায়! কিউবাতে প্রায় ৭০০০ শিশু মারা যায় ৩ মাসে, এ সম্পর্কে পাদ্রী বার্তোলমিও ডি লা কাসাস লিখেছেন— “In this way. Husband died in mines wives died at works, child died from lack of milk.”

স্যামুয়েল এলিয়ট মরিসন তাঁর “Christopher Columbus Mariner” বইতে কলম্বাসের দস্যুপনা ও নিষ্ঠুরতার বিবরণ তুলে ধরেছেন সবিস্তারে। তিনি কলম্বাসকে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন।

সর্ব্বোপরি, কলম্বাসকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয় যে তিনি নবদিগন্তের উদ্গাতা, নতুন মহাদেশ আবিষ্কারক, প্রকৃতপক্ষে তা নয়। তিনি স্পানিয়ার্ডদের দ্বারাই অভিযুক্ত হয়েছেন হত্যা, ধর্ষনের মত অপরাধে। কলম্বাস নিষ্ঠুর হলেও কলম্বাসের যে গুণের প্রশংসা প্রত্যেকেই করেছেন তা হল তাঁর সমুদ্র সম্পর্কে পারঙ্গমতা ও নাবিক হিসেবে দক্ষতা। …

সহায়ক গ্রন্থ
1. Christopher columbus and The Afrikan Holocaust: Slavery and The Rise of European Capitalism — John Henrik Clarke.
2. A People’s History of The United States — Howard Zinn.
3. Admiral of The Ocean Sea: A Life of Christopher Columbus — Samuel Eliot Morrison.
4. The Life and voyages of Christopher Columbus — Washington Irving.

 

 


চলন্ত সরকার
জন্ম : ১ এপ্রিল ১৯৯২, মৈমনসিনংহ।
আগ্রহের বিষয় : মিথলজী, তুলনামূলক সাহিত্য, পাশ্চাত্য সাহিত্যতত্ত্ব।
পড়াশোনা : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল। বাংলা ভাষা সাহিত্য বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর।

প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ : মেহেরাজ হাসান শিশির

{ক্রিষ্টোফার কলম্বাস এবং অপ্রিয় কথা [বঙ্গীয় শব্দকোষ (শ্রী হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়), বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ ও ক্রিয়াভিত্তিক-বর্ণভিত্তিক ভাষাদর্শন (কলিম খান-রবি চক্রবর্ত্তী) অনুসৃত] চারবাক-এর বানান রীতিতে প্রকাশিত হল।
— সম্পাদকীয়}

শেয়ার করুন

মন্তব্য

টি মন্তব্য করা হয়েছে

Leave A Reply

শেয়ার