শীতল আগুন উষ্ণ আগুন || কাজল সেন

0

আলোর সম্ভাবনা
মঈন চৌধুরীর চিত্রকর্ম্ম

 

সায়ন্তিকাকে যেদিন হঠাৎ দুপুর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, সেদিন শুধু সায়ন্তিকার ঘরেই নয়, বরং পাড়াতেও রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। কী ব্যাপার! কথা নেই বার্ত্তা নেই মেয়েটা বেমালুম কোথায় উধাও হয়ে গেল! খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সেদিন কলেজে অনার্সের কোন পিরিয়ডেই সে উপস্থিত ছিল না। কলেজের লাইব্রেরী, ক্যান্টিন, কমনরুম কোথাও তার হদিশ পাওয়া যায়নি। কলেজের বন্ধু ও বান্ধবীরা জানাল যে সায়ন্তিকার সঙ্গে সেদিন তাদের দেখা সাক্ষাৎ আদৌ হয়নি। খোঁজ করা হল অধ্যাপক ড. সত্যরঞ্জন গুহের বাড়ীতে। সপ্তাহে দু’দিন সে প্রাইভেট টিউশন পড়তে যায় স্যারের বাড়ীতে। যদিও সেদিন তার পড়তে যাওয়ার দিন ছিল না এবং তার পড়ার সময় দুপুর নয় বরং সন্ধ্যে, তবুও খোঁজ করা হল। না, সেখানেও তাকে পাওয়া গেল না। তাহলে কি সায়ন্তিকা তার কোন আত্মীয় বা বন্ধুর বাড়ীতে কোন বিশেষ প্রয়োজনে গেছে! হতেও পারে! কিন্তু সায়ন্তিকার মা অনেক ভেবেও মনে করতে পারল না যে, এই শহরে তাদের এমন কোন নিকট আত্মীয় আছে কিনা, যেখানে সায়ন্তিকা যেতে পারে। না, সেরকম কেউ নেই তো! সায়ন্তিকার বাবা সরাসরিই কথাটা অস্বীকার করল। কিন্তু তাহলে কাউকে কোন কথা না জানিয়ে মেয়েটা গেল কোথায়!

কুন্তলিকাকে এখন আর ঠিক পাড়ার মেয়ে বলা যাবে না, এমনকি একই এলাকার মেয়েও বলা যাবে না। আগে অবশ্য এই পাড়াতেই থাকত সে। এখন থাকে অন্য এলাকায়। সায়ন্তিকার নিখোঁজের খবরটা তার কাছেও পৌঁছে গেল। কুন্তলিকা বয়সে সায়ন্তিকার থেকে কিছুটা বড়, কিন্তু যে কারণেই হোক সায়ন্তিকা তাকে দিদি সম্বোধন করে না, নাম ধরে তুই বলে ডাকে। কুন্তলিকার কাছে অবশ্য কেউ সায়ন্তিকার খোঁজ করতে আসেনি, কিন্তু খবরটা শোনার পর সে আর নিশ্চেষ্ট হয়ে বসে থাকতে পারল না। সন্ধ্যে গড়াতেই তার মোপেড নিয়ে বেড়িয়ে পড়ল। কুন্তলিকা কিছুটা নিশ্চিত ছিল যে, সায়ন্তিকাকে ঠিক খুঁজে পাওয়া যাবে নীহারেন্দুর ফ্ল্যাটে। সায়ন্তিকা নীহারেন্দুর কাছেই গেছে।

এমনিতে সায়ন্তিকা কোথাও গেলে তার মা বাবাকে জানিয়েই যায়। কলেজে প্রায় প্রতিদিনই যায়। ঘরে ফিরতে ফিরতে দুপুর দুটা আড়াইটে বাজে। তারপর আর তেমন কোথাও বের হয় না। ঘরেতেই থাকে। তবে বিকেল বা সন্ধ্যে নাগাদ কোন প্রয়োজনে মাঝে মধ্যে বেরোতে হয়। মা বা বাবাকে জানিয়েই সে যায়। তা সেদিনও যথারীতি সায়ন্তিকা কলেজে যাবার জন্য সকাল আটটা নাগাদ ঘর থেকে বেরিয়েছিল। সায়ন্তিকার বাবাও মোটামুটি প্রায় একই সময়ে অফিসে রওয়ানা হয়েছিল। মা নিতান্তই গৃহবধূ। তবে সেদিন বেলা সাড়ে বারটা নাগাদ নতুন সালোয়ার কামিজের মাপ দিতে কাছের বাজারে গেছিল। আর তাই দুপুর একটা নাগাদ সায়ন্তিকা ঘরে ফিরেছিল কিনা একথা সায়ন্তিকার মা বা বাবার জানার কথা নয়। আসলে পাড়ার এক বৌদির নাকি হঠাৎ নজরে পড়েছিল। এমনিতে মা বাবা ঘরে না থাকলেও ঘরে ঢুকতে কোন অসুবিধে নেই, কেননা সদর দরজার চাবি তিনজনের কাছেই থাকে। কিন্তু পাড়ার সেই বৌদি সায়ন্তিকাকে সত্যি সত্যিই ঘরে ফিরতে দেখেছিল কিনা তা নিয়ে বৌদির নিজের মনেই কিছুটা সন্দেহ ছিল। তবে সায়ন্তিকাকে যে ঘর থেকে আবার বেরিয়ে যেতে দেখেনি, এ ব্যাপারে বৌদি নিশ্চিত। সায়ন্তিকার মা দুটা নাগাদ ঘরে ফিরে সদর দরজার তালা খুলেই ভেতরে ঢুকেছে। তারপর সায়ন্তিকার জন্য অপেক্ষা করতে করতে যখন বেলা তিনটে সাড়ে তিনটে বেজে গেছে, তখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে মেয়ের কলেজ থেকে ফিরে না আসার জন্য। ক্রমে কথাটা ছড়িয়ে পড়ল পাশের বাড়ী। পাশের বাড়ী থেকে তার পাশের বাড়ী। এবং এভাবেই গোটা পাড়ায় ও এলাকায়। আর ঠিক তখনই পাড়ার বৌদির মুখে শোনা গেল, সায়ন্তিকা নাকি দুপুর একটা নাগাদ ঘরে ফিরেছিল।

কুন্তলিকার কাছে খবরটা পৌঁছতে সে রীতিমত অবাকই হয়েছিল। কেননা নীহারেন্দুর কাছে যেদিন সায়ন্তিকা যায় সেদিন কলেজ থেকে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে বারটার মধ্যেই পৌঁছে যায়। নীহারেন্দু অফিস থেকে মধ্যাহ্ন ভোজনের অবসরে এই সময় তার ফ্ল্যাটে আসে। সায়ন্তিকা দুপুর দুটা পর্য্যন্ত সেখানে থাকে। তারপর অটো ধরে ঘরে ফিরে আসে। এসব কথা আর কারও জানা নেই। শুধু কুন্তলিকাই জানে। আর তাই সায়ন্তিকার দুপুর গড়িয়ে বিকেল, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যের মধ্যে ঘরে ফিরে না আসার খবর পেয়ে বুঝে উঠতে পারছিল না, এটা কী হল, কেন হল! তবে নীহারেন্দুর কাছেই যে সায়ন্তিকা থাকতে পারে, এ ব্যাপারে তার মনে কোন সংশয় ছিল না।

নীহারেন্দুর সঙ্গে সায়ন্তিকার সম্পর্ক গড়ে ওঠার আগে কুন্তলিকাই জড়িয়ে পড়েছিল নীহারেন্দুর সঙ্গে। যদিও কুন্তলিকা জানত যে নীহারেন্দু বিবাহিত। অবশ্য স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় নীহারেন্দু ও মাধুরী স্বেচ্ছায় আলাদা থাকা শুরু করেছিল। কুন্তলিকার তখনও রঞ্জনের সঙ্গে বিয়ে হয়নি। সায়ন্তিকা তখন সবেমাত্র কলেজে ভর্ত্তি হয়েছে আর কুন্তলিকা বি এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কলেজ ছেড়েছে। নীহারেন্দুর সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা সায়ন্তিকাকে জানিয়েছিল কুন্তলিকা।

একদিন হঠাৎই ফোন এল কুন্তলিকার। সায়ন্তিকাকে বলল, যদি পারিস তাহলে কাল আমার সঙ্গে আমাদের বাড়ীতে এসে দেখা করিস। সায়ন্তিকা বলেছিল, আমার তো কলেজে ক্লাস আছে, ক্লাস ছেড়ে যাব কী করে? বরং তুই আমার সঙ্গে কলেজে দেখা করে যাস। কুন্তলিকা বলেছিল, আমি যেতে পারি, তবে তোকে আমার সঙ্গে আমাদের বাড়ীতে আসতে হবে। সায়ন্তিকা প্রশ্ন করেছিল, কেন? কী দরকার বল না! কুন্তলিকা বলেছিল, তোর সঙ্গে একান্তে কিছু কথা বলতে চাই। ঘরে কেউ থাকবে না। তুই আসিস। তোকে সত্যিই খুব দরকার আমার।

সায়ন্তিকা অবাক হয়েছিল। কী এমন কথা থাকতে পারে তাদের দুজনের মধ্যে যা ফোনে বলা যায় না! দুজনে একান্তে অবশ্য এর আগেও অনেক কথাই বলেছে। কিন্তু এভাবে নিভৃত ঘরে মিলিত হবার কোন প্রয়োজন হয়নি। পরের দিন বারটা পর্য্যন্ত কলেজে থেকে নিজে নিজেই কুন্তলিকার বাড়ী চলে গেছিল সায়ন্তিকা। মাঝখানে বেশ কিছুদিন দেখা হয়নি। ফোনেই যা কিছু কথা হয়েছে। সাধারণ দু’চার পাঁচ কথা।

নিভৃত ঘরে সায়ন্তিকাকে আচমকা চমকে দিয়ে কুন্তলিকা গভীর গলায় বলেছিল, জানিস্‌, আমার হঠাৎ বিয়ের কথা পাকা হয়ে গেছে!

সায়ন্তিকার খবরটা জানা ছিল না। প্রশ্ন করল, তাই নাকি! কার সাথে ঠিক হল? নীহারেন্দুর সাথে?

কুন্তলিকা একটু চুপ করে থাকল। তারপর বিষণ্ণ স্বরে বলল, না, তা নয়। আমি সত্যি বলছি, আমি কিছুই জানতাম না। দিন কয়েক আগে শুনলাম মা বাবা নাকি আমার বিয়ের সম্বন্ধ করছে আমাদেরই এক সামান্য দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের সঙ্গে। রঞ্জন তার নাম। তুই তো চিনিস রঞ্জনকে। ছোটবেলা থেকেই আমাদের চেনাজানা। কতবার আমাদের বাড়ীতে এসে থেকেছে। আগে দাদা সম্বোধন করতাম, এখন সে নাকি আমার বর হবে।

সায়ন্তিকা বলল, বিয়ের কথা যখন পাকা হয়ে গেছে, তাহলে আর কী! রঞ্জনকেই বিয়ে করবি।

কুন্তলিকা বাধা দিয়ে বলল, না রে সায়ন্তিকা, আমি রঞ্জনকে বিয়ে করতে চাই না। আমি নীহারেন্দুকে প্রচন্ড ভালবাসি। নীহারেন্দুকে আমি কিছুতেই ঠকাতে পারি না। নীহারেন্দুর ডিভোর্স হয়ে গেলে আমি নীহারেন্দুকেই বিয়ে করতে চাই। কিন্তু কবে ডিভোর্স হবে জানি না। মা বাবাকে নীহারেন্দুর কথা বললে কিছুতেই রাজি হবে না। রঞ্জনের সঙ্গেই বিয়ে দেবে। বাঁচাব? তাই তোর কাছে আমি সাহায্য চাইছি সায়ন্তিকা। একমাত্র তুইই আমাকে বাঁচাতে পারিস!

সায়ন্তিকা না বুঝে বলল, আমি তোকে কীভাবে সাহায্য করব? কীভাবেই বা তোকে বাঁচাব? কিছুই আমি বুঝতে পারছি না।

কুন্তলিকা সায়ন্তিকার দুটা হাত ধরে মিনতি করে বলল, তুই রঞ্জনকে বিয়ে কর সায়ন্তিকা!

— মানে? এমন উৎপটাং কথার মানে কী?

— তুই রঞ্জনকে বিয়ে করলে আমি নীহারেন্দুর জন্য অপেক্ষা করতে পারি। একদিন না একদিন মাধুরীর সঙ্গে নীহারেন্দুর ডিভোর্স তো হবেই!

সায়ন্তিকা হঠাৎই দুম করে বলেছিল, তাহলে বরং তুই এক কাজ কর। তুই তোর মা বাবার কথা মেনে রঞ্জনকেই বিয়ে কর। আমার হাতে তো অপেক্ষা করার জন্য এখন অনেক সময় আছে। আমি চেষ্টা করে দেখি, নীহারেন্দুর সঙ্গেই নতুন কোন সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি কিনা!

নীহারেন্দুর ফ্ল্যাটে কুন্তলিকা পৌঁছে দেখল, নীহারেন্দু একাই আছে। সবে মাত্র অফিস থেকে ফিরেছে। এখনও বাইরের জামাকাপড় ছাড়া হয়নি। কুন্তলিকাকে দেখে অবাক হল নীহারেন্দু। অনেকদিন হল দেখা সাক্ষাৎ হয়নি। কুন্তলিকা আর আসে না নীহারেন্দুর কাছে।

কুন্তলিকা সরাসরি প্রশ্ন করল, আজ দুপুরে সায়ন্তিকা তোমার কাছে এসেছিল? নীহারেন্দু পালটা প্রশ্ন করল, হঠাৎ একথা জানতে চাইছ কেন? কী হয়েছে?

কুন্তলিকা বলল, সায়ন্তিকাকে দুপুর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি ভেবেছিলাম তোমার কাছে এসেছে।

নীহারেন্দু বলল, না, আজ তো আসেনি! আজ আসার কথাও ছিল না। আর যেদিন আসে দুপুরে এসে দুপুরেই ফিরে যায়। বিকেল বা সন্ধ্যেবেলা কখনই আসে না।

কুন্তলিকা হতাশ হয়ে বলল, তাহলে মেয়েটা গেল কোথায়?

নীহারেন্দুও উত্তেজিত হয়ে বলল, তাই তো! সায়ন্তিকা গেল কোথায়?

নীহারেন্দুর কাছে একদিন কুন্তলিকাই নিয়ে এসেছিল সায়ন্তিকাকে। পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল আমার সব থেকে ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। আজ থেকে ও তোমারও বন্ধু। কথাটা শুনে নীহারেন্দু হেসেছিল। বলেছিল, নিশ্চয়ই বন্ধু। তুমিও তাই।

বিয়ে করে নতুন সংসার গড়তে চলেছ বলে আমাদের বন্ধুত্ব তো আর শেষ হয়ে যাচ্ছে না! কুন্তলিকা কিছুটা যেন সান্ত্বনা দিতে চেয়েছিল নীহারেন্দুকে। বলেছিল, তুমি জীবনে কী পেলে নীহারেন্দু! স্ত্রী থেকেও নেই, তোমার প্রেমিকাও বিয়ে করে দূরে চলে যাচ্ছে। তুমি ডিভোর্সটা তাড়াতাড়ি সেরে ফেল নীহারেন্দু! আবার একটা বিয়ে করে সংসার করতে পারবে।

ম্লান হেসেছিল নীহারেন্দু। তুমি আমার ভালো চাও, তাই একথা বলছ। কিন্তু বাস্তবে তা তো হবে না। মাধুরী জানিয়ে দিয়েছে, সে ডিভোর্স চায় না। সে আমার স্ত্রীর পরিচয়ে এভাবেই সারাজীবন আলাদা থাকতে চায়।

সায়ন্তিকা আরও পরে জানতে পেরেছিল নীহারেন্দুর সঙ্গে মাধুরীর বিচ্ছেদের কারণ। ফুলশয্যার রাতেই মাধুরী নীহারেন্দুকে জানিয়েছিল, সে যথার্থই কামশীতল। নীহারেন্দু তার শরীরটাকে যেভাবে খুশি ভোগ করতে পারে, কিন্তু তাকে তৃপ্তি দেবার কথা যেন না ভাবে। সে কোন কাম উত্তেজনাই বোধ করে না। নীহারেন্দু জানতে চেয়েছিল, তাহলে মাধুরী বিয়ে করতে সম্মত হল কেন! মাধুরী বিব্রত স্বরে জানিয়েছিল, এছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। জীবনে নিরাপত্তার জন্য একটা বিবাহিতার সামাজিক পরিচিতি খুব দরকার ছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে তার বিয়েটা নীহারেন্দুর সঙ্গেই হয়েছে। কী আর করা যায়! নীহারেন্দু সায়ন্তিকাকে বলেছিল, দিনের পর দিন কামশীতল স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করা ক্রমশই অসহ্য হয়ে উঠছিল। একটু একটু করে সেই শীতলতা যেন গ্রাস করছিল নীহারেন্দুকে। মাধুরীই তখন আলাদা থাকার প্রস্তাবটা দিয়েছিল। সেইসঙ্গে এই অনুমতিও দিয়েছিল, ইচ্ছে হলে নীহারেন্দু অন্য কোন মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হতেই পারে, সেজন্য সে কোনদিনই আপত্তি জানাবে না। কিন্তু ডিভোর্স দেওয়া সম্ভব হবে না তার নিজেরই স্বার্থে ও প্রয়োজনে।

সেদিন সায়ন্তিকা ফিরে এসেছিল গভীর রাতে। নীহারেন্দু তখনও জেগেছিল। সায়ন্তিকার জন্য দুশ্চিন্তায় চোখে ঘুম ছিল না। কলিং বেলের আওয়াজে দরজা খুলে দেখল সায়ন্তিকা দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু সায়ন্তিকার পেছনে কে? অন্ধকার যতই গভীর হোক, নীহারেন্দুর চোখ দেখতে কোন ভুল করল না, মাধুরী ফিরে এসেছে সায়ন্তিকার সঙ্গে।

কিন্তু মাধুরী ফিরে এসেছে কেন? সায়ন্তিকাই বা তার সঙ্গে এসেছে কেন? নীহারেন্দু কিছুই বুঝে উঠতে পারল না। শীতল আগুন আর উষ্ণ আগুনের জটিল সমীকরণও তার বোধগম্য হল না।

 

 

 

 

 

কাজল সেন
জন্ম : ২৪ জানুয়ারী ১৯৫২। বসবাস জামশেদপুরে। শিক্ষাগত যোগ্যতা : বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। ‘বাংলা সাহিত্য ও জলধর সেন’ এই পর্য্যায়ে গবেষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জ্জন। কর্ম্মজীবন শুরু হয়েছিল উড়িষ্যায়। পরবর্ত্তী কালে জামশেদপুরের একটা কলেজে বাংলা সাহিত্য বিষয়ে অধ্যাপনা করেছেন এবং অবসর গ্রহণ করেছেন। সাহিত্যচর্চ্চায় ব্রতী হয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লিখেছেন কবিতা, ছোটগল্প, প্রবন্ধ ও নিবন্ধ। পত্রিকা সম্পাদনার ক্ষেত্রে হাতেখড়ী হয়েছিল হাতেলেখা পত্রিকা ‘পথিকৃত’-এ। ‘সারস্বত’ নামে মুদ্রিত পত্রিকাও সম্পাদনা করেছেন। তারপর সুদীর্ঘ ৪৩ বছর ধরে সম্পাদনা করছেন ‘কালিমাটি’ পত্রিকা। পাশাপাশি আন্তর্জালে ‘কালিমাটি অনলাইন’ পত্রিকা সম্পাদনা করছেন বিগত ৯ বছর। ইতিমধ্যে ৭টা কবিতার বই, ৫টা গল্পের বই, ২টা উপন্যাসের বই প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া সম্পাদনা করেছেন ১টা কবিতার বই এবং ৫টা গল্পের বই। পোষাকী নাম ড. অনুপকুমার সেন।
ফোন নম্বর : 9835544675
ই-মেল : kajalsen1952@gmail.com

প্রচ্ছদ : মেহেরাজ হাসান শিশির

{কাজল সেনের গল্প ‘‘শীতল আগুন উষ্ণ আগুন’’ [বঙ্গীয় শব্দকোষ (শ্রী হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়), বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ, ক্রিয়াভিত্তিক-বর্ণভিত্তিক শব্দার্থ বিধি (কলিম খান-রবি চক্রবর্ত্তী) ও প্রকৃতিপুরুষ ভাষাদর্শন অনুসৃত] চারবাক-এর বানান রীতিতে (যথাসম্ভবভাবে) সম্পাদিত ও প্রকাশিত হল।
— সম্পাদকীয়}

শেয়ার করুন

মন্তব্য

টি মন্তব্য করা হয়েছে

Leave A Reply

শেয়ার