প্রিয়, আপনাকে যা বলেছিলাম || আরণ্যক টিটো

0


……………………………….
এই
বিশ্বপ্রকৃতি, একটী কবিতা! একটী তত্ত্ব! সৌন্দর্য্যের আধার!
কবিতায় তত্ত্ব থাকে, থাকতে পারে, না-ও পারে!
কথা হল কবিতা ক-ত-দূ-র?— তত্ত্বকে নিয়ে, তত্ত্বকে ছাপিয়ে টোটাল কবিতা হল কতটুকু?
কেবল, তত্ত্বও কবিতা হতে পারে, যেমন বিশ্বপ্রকৃতি!
কবিতাবিহীন তত্ত্ব, কবিতা না! তত্ত্ব হল …
কবী যখন লেখে… অবচেতনে… সেখানে ধরা দেয় চেতন মনের নানান ভাবনা, নানান প্রকাশ,
জীবনযাপন!
সবকিছু মিলেমিশে… একাকারে …
তত্ত্বের চেতনা তৈরী হয়, তত্ত্ববোধ কবিতায় ধরা দেয় অধরা আনন্দে!!
তত্ত্ব ছাড়াও কবিতা হতে পারে, সে অন্যকথার তত্ত্ব!…
ছন্দ/অলংকার ছাড়া কবিতা হয় না, কেবল কবিতা না, সবকিছুই ছন্দময় ব্যাপার, বিশ্বপ্রকৃতিতে…
যখন বৃষ্টি পড়ে, সেখানেও ছন্দ কাজ করে, বৃষ্টি পড়ে পাতা নড়ে, সেখানেও ছন্দ!
ধরুন,
লোকটা হাঁটছে, পায়ে পায়ে…
পা ফেলার মাঝে আছে, মাপ। ব্যাকরণ। পা ফেলার মাত্রা।
লোকটা ভাবছে, তিনি মাত্রা ভাঙবেন— হাঁটবেন না, দৌঁড়াবেন…
দৌঁড়াআআআতে লাগল…
দেখা যায়,
সেখানেও মাত্রা, অন্যরকম… দৌঁড়ানোর মাত্রা …
মাত্রা বিষয়টাই ছন্দ!
একটু কান পাতলেই ধরা দেয় …
উদাস দুপুরে পাখীটীর একটানা ডাক, ফের থেমে থেমে ডাকের মাঝেও ছন্দ আছে, আছে সুর, সুরা ও সাকী,
ছন্দে ছন্দে চলতে চলতে পতনেও ছন্দ আছে,
আছে
পতনের আনন্দ! …
যে ধরে সে ধরে, যে ধরে না সে ধরে না! … ধরি কিংবা না ধরি, মানি কি না মানি, আমাকে জানতে হবে!
যে জানে, তার না জানলেও চলে, যেহুতু সে জানে, সে ধরে!
এই যে দেখুন,
আমি আপনাকে হাত বাড়লেই ধরতে পারি, তবু ধরছি না,
মনোরম পাপে!…
মোটকথা,
কাঠামো ভাঙতে হলে, কাঠামোকে জানতে হবে, যে জানে না, সে ভেঙে গড়তে পারে না, …
কাঠামো ভেঙে কাঠামো না গড়লে জীবন চলবে কী করে?
যেহুতু
জীবন একটী কাঠামো,
ফুল!
পাপড়ির মর্ম্ম থেকে ঝরে পড়া টুপ্ টাপ্ শিশিরের গান
কিংবা
মেশিনগানের একটানা ছন্দে নির্গত ধ্বংস! কিংবা
শ্যামসম
সাধের মরন! কিংবা
সৃষ্টি!—
মহাবিশ্ব > তত্ত্বের শৃঙ্খলা + ছন্দ + অবাক অলঙ্কার = অবাক কবিতা!! — সৃজন গুঞ্জনে ধ্বনিত প্রথম বাক্,
বাক্য!
যাহার হৃদয়ে আমরা বন্ধু হতে পারি!
একটী মাত্রাকে ভেঙে আরেকটী মাত্রার দিকে যেতে পারি!
দেখুন, ভেঙে পড়া আয়নার টুকরা টুকরা মূহুর্ত্তরা
একটী মাত্রার দিকে
যাচ্ছে…
যার মাত্রা, বহুমুখী!…

 

 

 

 


আরণ্যক টিটো
জন্ম— জুন, ০৬, ১৯৭৭।
জন্মস্থান— উত্তর গোবীন্দর খীল, হাঁদু চৌধুরী বাড়ী, পটিয়া, চট্টগ্রাম।
(শৈশব কৈশোর ও তারুণ্যের সময়যাপন) বেড়ে ওঠা (পূর্ব্ব বালিয়াদী, মীরশ্বরাই, চট্টগ্রাম) নানার বাড়ীতে।
প্রকাশিত কবিতার বই—
ফুলেরা পোষাক পরে না (সাল: ২০১৮, প্রকাশক : মনফকিরা, কলিকেতা)।
প্রকাশিতব্য বই—
অর্দ্ধনারীশ্বরবাদ : প্রকৃতিপুরুষতত্ত্ব (নন্দনতত্ত্ব), বটতলার বয়ান (ভাষাতাত্ত্বিক গদ্য) ও উদ্ভিদপ্রতিভা (কবিতা)।
সম্পাদক— চারবাক।

প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ : মেহেরাজ হাসান শিশির

{প্রিয়, আপনাকে যা বলেছিলাম [বঙ্গীয় শব্দকোষ (শ্রী হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়), বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ ও ক্রিয়াভিত্তিক-বর্ণভিত্তিক ভাষাদর্শন (কলিম খান-রবি চক্রবর্ত্তী) অনুসৃত] চারবাক-এর বানান রীতিতে প্রকাশিত হল।
— সম্পাদকীয়}

শেয়ার করুন

মন্তব্য

টি মন্তব্য করা হয়েছে

Leave A Reply

শেয়ার