একান্নবর্ত্তী, গজদন্ত, বাড়া ও প্রতিকূল ঠাকুরের শিষ্য || আরণ্যক টিটো

0

একান্নবর্ত্তী
…………………………………………
না
খেয়ে আসিনি…
তোয়ালে দিন, হাতমুখ ধুয়ে আসি …
(পরমান্ন)
গরম ভাতের ঘ্রাণে
মোচড় মারছে ক্ষুধার পাঁচালী!
………
আপনার কি মনে আছে? পাঠশালায় পড়া
একান্ন = এক + অন্ন!
আমাদের
হাটের হাঁড়ীটি
ভাঙাভাঙির বিপরীতে এক হতে পারত …
আমরা তো
একান্নবর্ত্তী পরিবারের মানুষ ছিলাম … একই অন্নে লালিত
এই
একান্নপীঠের পটভূমে …

অতীত
তাহাই বলে!

অন্নদা, আপনি কী বলেন? …

 

 

 

 

গজদন্ত
……………………………………..
প্রিয় গজদন্ত,
আজও তোমাকে ভালবাসি—
প্রিয়
তোমাকে ভজনা করি…
দাঁতের ওপরে দাঁতের দাম্পত্যে—
না বি/বাদে, না কলহে,
বলি না কাউকে, একটা থাপ্পড়ে সব দাঁত ফেলে দেব!
বরং
দাঁতাল কাহিনীর জনপদে
হাসির ঝর্ণাধারায়
সবুজের বুকে জলের উচ্ছ্বাস দিয়ে
বয়ে যাওয়া নদীর গজদন্ত শাখা ভালবাসি…
প্রিয়
গজদন্ত,
তোমাকে কামনা করি…
দাঁতাল না, আলতো কামড়ে…
ক্ষত
উপশমে…

 

 

 

 

বাড়া
…………………………………………
ব যোগ ড় সমান বড়!
এইখানে
ব সমান
বাহী কিংবা বাহক!
ড় সমান ডয়নের রহস্যরূপ!
সুতরাং
বড় সমান
বাহক কিংবা বাহীর ডয়নের রহস্যরূপ!
আর
ব যোগ আ সমান ‘বা’!
(… জেনেছি
ব-এর মান …)
এখন জানব, আ মানে আধার!
অর্থাৎ
বাহীর আধারে
ডয়নের রহস্যরূপ সমান ‘বা’ যোগ ‘ড়’ সমান ‘বাড়’ …
এই ভাবে—
বাড়ের আধার > বাড়া > বাড় যোগ আ…
দেখ হে,
বাড়ছে
বাড়ের আধার > বাড়া …
শিহরণে
বাড়্ ও বাড়ন্ত … বাড়ের ত্বরণে …
(জগতের সকল কিছুর
যাহা যাহা বাড়ে … তাহা তাহা বাড়া … বাড়াপদবাচ্য!)
এই
বাড়া-সূত্র
মেনে … বাড়া, বাড় গো তুমিও …
বাড়াবাড়িতে না …
কারণ,
এক
বাড়ের আবাসে
আরেক বাড়ের ‘ই’ প্রত্যয়
(মানে
গতিশীলতা …) যোগ
হল বাড়া যোগ বাড়ি …
এই
বাড়া ও বাড়ির মিলনায়তন …
জড়তাসমাজ
(মনে
ও মননে)
নিতে পারে না।
নিতে
পারাও যদি, চলতে পারে তবে
বাড়াবাড়ি …
এবং বলতে পার
বাড়া, চল… করি বাড়াবাড়ি … ভীষণ রকম …

সাবধান!
এর মাঝেইইইই
কেউ কেউ
বলবে তোমাকে,
বেশী বাড়্ বেড় না গো বাড়া, কেটে দেব ডালপালা!

 

 

 

 

প্রতিকূল ঠাকুরের শিষ্য
………………………………………………..
বহে স্রোত
অনুকূলে…
তোলে পাল
উজান গাঙ্গের নাইয়া …
ভাসে নাউ
ভাসে তীর্থযাত্রী …
কালের যাত্রায়
সর্গে
উপসর্গে
হব না তীরে থ
তীর্থে …
আমি
প্রতিকূল ঠাকুরের শিষ্য
নেই প্রয়োজন
স্বর্গ …
বহে জল তির তির > জ্ঞানধারা
খুঁজি
বিপরীত তীর …
বিপরীত উদ্ভাস … বিপরীত উচ্চারণ …

 

 

 

একান্নবর্ত্তী, গজদন্ত, বাড়া ও প্রতিকূল ঠাকুরের শিষ্য কবিতাগুলো (“লিরিক” উত্তর আধুনিক কবিতা সংখ্যা— ৫-এ) পূর্ব্বে প্রকাশিত। কিছুটা সংশোধিত/পরিমার্জ্জিত রূপে বর্ত্তমানে চারবাকে পুনঃপ্রকাশ করা হল…

— সম্পাদকীয় ]

 

 

 

 

10639619_1050326421685388_1336824167648158240_n 1

আরণ্যক টিটো
জন্ম : জুন, ০৬, ১৯৭৭।
জন্মস্থান : উত্তর গোবীন্দর খীল, হাঁদু চৌধুরী বাড়ী, পটিয়া, চট্টগ্রাম।
(শৈশব কৈশোর ও তারুণ্যের সময়যাপন)
বেড়ে ওঠা (পূর্ব্ব বালিয়াদী, মীরশ্বরাই, চট্টগ্রাম) নানার বাড়ীতে…।
প্রকাশিত কবিতার বই : ফুলেরা পোষাক পরে না (সাল: ২০১৮, প্রকাশক : মনফকিরা, কলিকেতা)।
সম্পাদক : চারবাক।

শেয়ার করুন

মন্তব্য

টি মন্তব্য করা হয়েছে

Leave A Reply

শেয়ার